নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:১৫ : পূর্বাহ্ণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে আটক করেছে র্যাব।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমণি ইশা খাঁ থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে মেয়র আব্বাস আলী রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমণি ঈশা খাঁতে অবস্থান করছেন। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে হোটেলটি ঘিরে রাখে র্যাবের একটি দল। পরে সকালে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে মেয়র আব্বাসকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ-সে জন্য রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না বসানোর নির্দেশ দেন তিনি। যা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করার ঘোষণা দেন নৌকা প্রতীকে দুবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী।
সে আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত সোমবার রাত থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওর কণ্ঠ নিজের বলে স্বীকার করেছেন আব্বাস আলী।
তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কাউন্সিলর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরের তিন থানায় মামলা করেন।
ইতিমধ্যে আব্বাস আলীকে অপসারণে অনাস্থা এনেছেন কাউন্সিলররা। এ অনাস্থা প্রস্তাবসংবলিত অপসারণের আবেদনপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন তারা।
গত শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে আব্বাস আলী বলেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার বড় হুজুরের পরামর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি ম্যুরাল না রাখার বিষয়টি কথাচ্ছলে বলেছিলেন।
কী বলেছিলেন মেয়র আব্বাস
অডিও ক্লিপে তিনি একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘সিটি গেট আমার অংশে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে, যে মুর্যালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামি শরীয়ত মতে সঠিক নয়।
এজন্য আমি ওটা থুব (রাখবো) না, সব করবো তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (মুর্যাল)।
আমি দেখতে পাচ্ছি আমাকে যেভাবে বুঝাইছে আমি দেখতে পাচ্ছি যে মুর্যালটা ঠিক হবে না। দিলে আমার পাপ হবে, তো কেন দিব? দিব না।
আমিতো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে মুর্যালটা হলে আমার ভুল করা হবে।
এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে, এই মুর্যাল দিত চেয়ে দিছে না।
তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করবো নাকি। এজন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’
আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে, চিকিৎসকরা চিন্তিত: মির্জা ফখরুল
যেন এক রকস্টার, নাচে-গানে মাতালেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ! (ভিডিও)