নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২১ ১১:২২ : পূর্বাহ্ণ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় বিএনপির এ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিএনপির এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বর্তমানে সেখানে দলটির শত শত নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়েছেন।
নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল প্রকম্পিত করছেন।
এরই মধ্যে বিএনপির মহানগর ও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা আছে।
গেল শনিবার মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে না দিলে সরকারকে গদি থেকে নামানোর আন্দোলন শুরু হবে।
গতকাল রোববার একই ইস্যুতে মানবন্ধন করে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
তাদের অভিযোগ, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অনুমতি দিচ্ছে না সরকার।
একই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরীক পাঁচটি দল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বলেছেন, আইনে না থাকলেও তাদের আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।
আইনমন্ত্রীর মতে, আইন অনুযায়ী বিদেশ যেতে চাইলে খালেদাকে ফের জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও তিন দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না দিলে সরকার পতন আন্দোলন শুরু: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে পদত্যাগের হুমকি বিএনপি এমপিদের
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৫ রাজনৈতিক দলের স্মারকলিপি