নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ নভেম্বর, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। দেশে চলছে একনায়তন্ত্রের আাধিপত্যবাদ। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ রোববার সকালে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে নগরীর ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে নগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ ও র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় রূপ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনীর চীফ স্টাফ অফিসার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। তিনি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তকে রুখে দেয়ার জন্য অকুতোভয় সিপাহী জনতা এক ইস্পাত কঠিন ঐক্যে শপথবদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক বিপ্লব সংগঠিত করেন।
এ বিএনপি নেতা বলেন, আজকে বাংলাদেশে মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ চরম হুমকীর মুখে। ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। বাকশালের প্রেতাত্মার ঘৃণ্য থাবায় গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই চেতনা বুকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ। আর ৭ নভেম্বরের চেতনাই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তিশৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মাহাবুবুল আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরী, এসএম আবুল ফয়েজ, আরইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, বিএনপি নেতা শিহাব উদ্দীন মুবিন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।