নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ অক্টোবর, ২০২১ ৯:৩১ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ১১ অক্টোবর থেকে স্বীকৃতির এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, ব্রিটেনের পরিবহন বিভাগ এক ঘোষণায় জানায়, দেশটির অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার তালিকা ও সনদ স্বীকৃতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও শুক্রবার ভোররাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ খবর জানিয়েছেন।
বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশন এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত। আমাদের মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছে এবং এখন তারা আমাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, আগামী ১১ অক্টোবরের আগে কেউ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করলে আগের নিয়মে ভ্রমণবিষয়ক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। আর ১১ অক্টোবরের পর থেকে দেশটিতে ভ্রমণ করলে করোনা টিকার সনদ দেখানো যাবে।
ব্রিটেনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি দুদেশের মধ্যে ব্যবসা ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট বাধা দূর করার জন্য হাইকমিশনের স্থায়ী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল।
হাইকমিশনার জানান, সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে যুক্তরাজ্য-অনুমোদিত টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়াদের আর ১০ দিনের হোটেল বা হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা কোভিড-১৯ প্রি-প্রস্থান পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। তবে ব্রিটেনে আসার পর দ্বিতীয় দিন বা তার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেক ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে। যেসব ভ্রমণকারীরা ব্রিটেনের অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন করেননি তাদের ১০দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাদের কোয়ারেন্টাইন চলা অবস্থায় দ্বিতীয় ও অষ্টম দিন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।