নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৫ অক্টোবর, ২০২১ ১১:১৮ : পূর্বাহ্ণ
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম অসুস্থ থাকায় রায়ের তারিখ পেছানো হয়।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর এস কে সিনহা শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যান। এরপর আর তিনি দেশে ফেরেননি। এই মামলায় পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা রয়েছে। পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারান তিনি। কোনো মামলায় দেশের সাবেক কোনো প্রধান বিচারপতি এই প্রথম বিচারের মুখোমুখি হলেন।
এ মামলার এস কে সিনহা বাদে বাকি ১০ আসামি হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় (সিমি)।
এরমধ্যে চারজন সিনহা, সাফিউদ্দিন, রনজিৎ ও সান্ত্রী রায় পলাতক আছেন। এছাড়া একজন কারাগারে আটক এবং বাকি ছয়জন জামিনে রয়েছেন। পলাতক বাদে বাকি সাত আসামি গত ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
এরপর ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগ-দখলে রেখে অবৈধ প্রকৃতি উৎস অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।