নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৫০ : অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরো একটি কু-নজির বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘মুহিবুল্লাহকে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গা নেতা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাকে গুলি করে বর্বরোচিত কায়দায় হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদেরকে নিরাপত্তা দিতেও সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে যে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আইনশৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই, তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হলো মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যা। এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয় না, কিংবা বিচার হলেও সরকারি আনুকূল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় বলেই দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন; তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়। নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অদক্ষতায় সর্বক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য এবং নিরাপত্তাহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে জনগণ, বিদেশি নাগরিক কিংবা শরণার্থী- কারো জীবনেরই কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে মানুষ দিশেহারা। জনগণ চায় এই অবস্থার পরিবর্তন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা যেমন ভুলুন্ঠিত হবে, তেমনি জানমালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।’
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।