নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:২৫ : অপরাহ্ণ
সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা খারাপ হলে একজন মানুষ নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে!’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধবংস করেছে। পুরোপুরিভাবে লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। কী অবস্থা দেখেন। করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে যে, যুবক তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। কেনো পুড়িয়েছে?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সে (রাইড শেয়ার চালক) বলেছে যে, আমি একটা সিরামিকের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনে রাইড শেয়ারিং কাজ করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে প্রতি পদে পদে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। আপনার অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, তমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চাইতে পুড়িয়ে ফেলি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কখন হয়? মানুষের হতাশা যখন চরম পর্যায় গিয়ে পৌঁছে, তখন হয়। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখের উপরে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত গ্রেফতার, পুলিশি নির্যাতনে তারা এলাকায় থাকতে পারছে না। এই দেশকে কি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যাবে? যাবে না। একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তারা তৈরি করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যে স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এখন কথা বলতে যে কেউ ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়।’
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।