নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৮:১৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানাকে ঘটনাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মামুনুর রহমান চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার সঙ্গে আরও জড়িত রয়েছেন-বাঁশখালী উপজেলার রায়ছাটা এলাকার আরিফুর রহমান শাকিল (২৮), বাঁশখালীর দীঘিরপাড় এলাকার সিফাত (৩০) এবং মো. ইমন (২৯)।
মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার নামের ওই ব্যবসায়ী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বাঁশখালী থেকে মুরগির খাদ্যের বকেয়া টাকার জন্য নগরীর বহদ্দারহাটে আসেন। পাওনা টাকার জন্য গেলে ব্যবসায়ী জসিম ডেকে নিয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানার এ কে কনভেশন হলের সামনে যেতে বলেন।
সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন লোক অস্ত্র ধরে আরকান হাউজিং সোসাইটির ১২ তলা একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে নেওয়ার পর বিভিন্নভাবে মারধর করে এবং রক্ষিত এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় জোরপূর্বক কয়েকটি চেক এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আল মামুন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঘটনার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে আসি। পরে আমাকে ফোন দিয়ে বলে থানায় এলে আবার হামলা করা হবে। তাই ভয়ে আর যাইনি। পরে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘সে প্রথম দিন এসে সবকিছু জানিয়ে গিয়েছিল। যদিও আমি ছিলাম না। পরের দিন তাকে আবারও আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে আসেনি।
অভিযোগের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলাম। প্রতিহিংসাবসত আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ ঘটনায় যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’