নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২:৩০ : অপরাহ্ণ
সরকারের নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সব শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে যে জামিন পেয়েছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন, সে সময়টা বৃদ্ধির জন্য তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাস গণনা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সাজা স্থগিত করে প্রথমে ৬ মাস সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বার এ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এখন সে সুবিধা আবারও দেওয়া হলো। তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা যেভাবে নিতে চান, সেভাবে নেবেন।
বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থায়ী মুক্তি চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর সম্প্রতি একটি আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। স্থায়ী মুক্তির জন্য কোনো সুপারিশ তারা করেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় ও ৩য় দফায় ছয় মাস করে আরও এক বছর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এ মাসের ২৪ তারিখে সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগেই খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।