নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:০৫ : অপরাহ্ণ
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনে মতামত দিয়ে সেটি মঙ্গলবার আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তির প্রার্থনা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটির আইনি মতামত চেয়ে আমাদের কাছে (আইন মন্ত্রণালয়ে) এসেছে। আমরা এ আবেদনের আইনি বিষয় পর্যালোচনা করে মতামত দিয়েছি। মতামতটি আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অনুমোদন সাপেক্ষে আবেদনটি নিষ্পত্তি করবে।’
আবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অসুস্থতার গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তিনি দেশে আসার পর খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়টি গতি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে দফায় দফায় এই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর আবেদন করলেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।