বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৭ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

পাঞ্জশিরের আকাশে তালেবানের পতাকা, পালিয়ে গেছেন আহমেদ মাসুদ!


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:০১ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশে গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে ইসলামের কালেমালিখিত সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে তালেবান।শুধু পাঞ্জশিরই তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। গতকাল সোমবার সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানোর পর এবার পতাকা উড়ালো তারা।

পতাকা উত্তোলনের ভিডিও প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পাঞ্জশিরের বিদ্রোহীরা অবশ্য এখনও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে প্রাক্তন গনি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লা সালেহ ও আহমদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ বাহিনী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান (এনআরএফ)।

আহমেদ মাসুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক অডিও বার্তায় তালেবানের রাজনৈতিক ক্ষমতার বৈধতা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।

সব আফগানের উদ্দেশে আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, দেশের ভেতরে বা বাইরে, আমাদের দেশের মর্যাদা, স্বাধীনতা ও গতিশীলতার জন্যে জাতীয় জাগরণ গড়ে তুলুন।’

পালিয়ে গেছেন আহমেদ মাসুদ!

তবে পাঞ্জশির প্রদেশের নিয়ন্ত্রণকারী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের কমান্ডার আহমেদ মাসুদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছে তালেবান। তিনি আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে তুরস্কে চলে গেছেন বলে দাবি করেছেন তালেবানের নিউজ চ্যানেল আলেমারাহর সাংবাদিক তারিক গজনিওয়াল।

সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাঞ্জশিরে ইন্টারনেট সেবা নেই। তাহলে আহমেদ মাসুদ অনলাইনে পোস্ট করছেন কীভাবে? তিনি তুরস্কে আছেন।

এর আগে পাঞ্জশির দখলের পর প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা, আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছিল তালেবান।

তালেবানের তরফ থেকে জানা গেছে, দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন সালেহ। তবে এ ব্যাপারে আমরুল্লাহ সালেহর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নিয়ে সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান বাহিনী। কোনো বাধা ছাড়াই আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টি দখল করে তারা। কেবল তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় পাঞ্জশিরে।

১৯৮০ এর দশকে সোভিয়েত বাহিনী এবং ১৯৯০ সালে তালেবানের বিরুদ্ধে পাঞ্জশিরের যোদ্ধারা বীরত্বের পরিচয় দিলেও এবার আর পেরে উঠলো না তারা। তালেবানের হাতেই চলে গেলো প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পাঞ্জশিরে বিজয় ঘোষণা তালেবানের

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর