নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৫০ : অপরাহ্ণ
চিত্রনায়িকা পরীমনি সাভারে ঢাকা বোটক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার যে অভিযোগে এনেছিলেন, মামলার তদন্তে তার সত্যতা পায়নি পুলিশ। তবে পরীমনিকে যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। প্রমাণ মিলেছে মারধর ও হুমকির।
পরীমনির দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ ২ মাস ২৩ দিন পর সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ (৬০) ও মামলায় তদন্তে আসা ৩ নম্বর আসামী শাহ শহিদুল আলম (৫০) অভিযোগকারী পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে অশ্লীল আচরণ করে। এরপর তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়।
এছাড়া মামলার দ্বিতীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩) পরীমনিকে কৌশলে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় নাসির ইউ মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম। এরপর তাকে অশ্লীল কথা বলে শরীরে স্পর্শ করে। এতে মামলার বাদী পরীমনি ক্ষিপ্ত হলে তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।
এতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ প্রতীয়মান হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৪ জুন নাসির ইউ মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মামলায় পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়।
তিনি অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে।
গত ১৩ জুন নাসির ও তুহিন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। সেদিনই নাসির, তুহিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ মামলায় আদালতের অনুমতি নিয়ে নাসির ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পরীর করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় এবং পুলিশের মাদক মামলায় বেশ কয়েকদিন রিমান্ডে ছিলেন আসামিরা। দুই মামলাতেই ব্যবসায়ী নাসির ১৫ দিন জেল খেটে এখন জামিনে আছেন। কারাগারে রয়েছেন অমি।