প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৫:৩০ : অপরাহ্ণ
ছিল না নির্বাচনী আমেজ, ভোট নিয়ে আগ্রহও ছিল না সাধারণ মানুষের। ভোট দেয়ার জন্য কোথাও কোথাও বাড়ি থেকে ডেকে আনতে হয়েছে ভোটারদের।
এমনই নিরুত্তাপ পরিবেশে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট শেষে শুরু হয়েছে গণনাপর্ব।
আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের বেশির ভাগ কেন্দ্রে দিনভর দেখা গেছে ভোটার খরা। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ্রগ্রহণ না করায় মূলত ভোটের লড়াইটা হচ্ছে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে।
বিকেল সোয়া ৫টায় কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষিত ১৪ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা) এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪২ ভোট।
গত ১১ মার্চ করোনায় এ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয় ১৪ জুলাই।
পরে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হয় ২৮ জুলাই। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে আরও এক দফা ভোট পেছানো হয়। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়।
সিলেট-৩ আসন এক সময় জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। এই আসনে তিনবার সাংসদ হন জাতীয় পার্টির মুকিত খান। ২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন ধানের শীষ প্রতীকের শফি আহমদ চৌধুরী।
এরপরের তিনটি নির্বাচনেই বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।