প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার রংমালা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কাদের মির্জা।
অপরদিকে রংমালা দারুস সুন্নাহ সিনিয়ির মডেল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু।
মেয়র কাদের মির্জা হলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আর মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু হলেন তাদের ভাগ্নে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে রংমালা দারুস সুন্নাহ সিনিয়র মডেল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কাদের মির্জা।
আর রংমালা দারুস সুন্নাহ সিনিয়ির মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুনকে অপমানের প্রতিবাদে পাল্টা কর্মসূচি আহ্বান করেন মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু।
গতকাল শুক্রবার মামা-ভাগ্নে পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এ কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধতে পারে।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের দলের সভাপতিকে অন্যায়ভাবে রংমালা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি রংমালা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল্লাহ আল মামুনকে কোম্পানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে রংমালা মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাদ যায়। একপর্যায়ে রংমালার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয় আমাকে। আমি প্রথমে এ পদে দায়িত্ব নিতে অনীহা প্রকাশ করি। অনেকের অনুরোধ রক্ষা করতে আমি এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আর এতেই কাদের মির্জার গাত্রদাহ শুরু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে আমরা প্রয়োজনীর আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গত আট মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং একজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।