নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:৪০ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের খুনিদেরকে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে ও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। খালেদা জিয়া তার থেকে আরও একধাপ ওপরে গিয়ে জনগণের পার্লামেন্টে একজন খুনিকে এনে বসায়।’
আজ বুধবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
আলী আশরাফ কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুর রশিদ। তাকে পরে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফকে হারিয়ে দেশ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে। কিস্তু দুভার্গ্যের বিষয় হলো তিনি যে এলাকা থেকে নির্বাচন করতেন সেই চান্দিনা এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্নেল রশীদের বাড়ি।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে যে নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে দেশের সকল রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিল। একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন। সারাদেশে সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়ে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে সেই নির্বাচনটা করা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই নির্বাচনে ওই চান্দিনা থেকে কর্নেল রশীদকে সংসদ সদস্য করে সংসদে নিয়ে আসে এবং বিরোধী দলের নেতার আসনে বসান খালেদা জিয়া। চুয়াডাঙ্গা থেকে আরেকজন খুনী মেজর বজলুল হুদাকেও নির্বাচিত করে সংসদে নিয়ে আসা হয়।’
অধ্যাপক আলী আশরাফ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ম সংসদে তিনি (আলী আশরাফ) ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে কখনো সভাপতি কখনো সদস্য হিসেবে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উনার সাথে আমার দেখা হয়েছিল ‘৭৫ এর পর, যখন আমি ১৯৮০ সালে লন্ডনে। তিনি সব সময় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যেমন প্রতিবাদও করেছেন, আবার ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড তার বিরোধীতা করেছে আর সেখানে তিনি সাক্ষীও দিয়েছেন খুনিদের বিরুদ্ধে।’
প্রয়াত আলী আশরাফের শোক প্রস্তাবের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের, মশিউর রহমান রাঙা, কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমুখ।
তারা অধ্যাপক আলী আশরাফের জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন। এর ফরে শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে গৃহীত হয়।