নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১:২০ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাভোগের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পলাতক শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর দুই আসামি সৈয়দ আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে।
আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় খালাস পেলেও অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ কারণে তারা কারামুক্ত হতে পারছেন না।
আরেক আসামি জহুরুল হক খন্দকার মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ উদ্দিন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি শটগান ও ৩ লাখ জালটাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল বাদী হয়ে শহীদ উদ্দিন খানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা নৃপেন কুমার ভৌমিক ২১ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।