রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২১ ১২:০৫ : অপরাহ্ণ
কাবুলে দ্বিতীয় হামলার পরই পাল্টা আঘাত হানলো আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে বেশ কয়েকজন আইএস সদস্য কাবুল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল । ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে।
রোববার মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র বিল উরবানের বরাতে এই খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল উরবান বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, যে লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম সেখানেই আঘাত হানতে পেরেছি।’
তবে হামলায় বেসামরিক কেউ মারা গেছে কি না তা জানা নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক নিয়ে গাড়িতে করে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলো। তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা।
এর আগে কাবুলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে রকেট হামলা চালায় আইএস। বিমানবন্দর লাগোয়া খাওয়াজা বুঘরা এলাকায় ওই রকেট হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে বলে আফগানিস্তানের পুলিশ প্রধানের বরাতে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।
কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আবারও সন্ত্রাস হামলা হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, রোববার যেকোনো সময় হামলা হতে পারে।
তবে রকেট হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় একটি শাখা-ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ (আইএস-কে)।
ওই হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে শুক্রবারে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শীর্ষস্থানীয় দুই জন আইএস-কে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই দু’জন বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে সহিংস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয় ‘আইএস-কে’ কে। আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানকে তারা শত্রু মনে করে।
তাদের অভিযোগ, আমেরিকানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছে তালেবান।