নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ আগস্ট, ২০২১ ১:৩৭ : অপরাহ্ণ
আন্দোলন ঠেকানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে অনেক অপশক্তি অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে-আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাহলে সেজন্য তারা এতোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। অর্থাৎ করোনা কিংবা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে নয়, বরং আন্দোলন ঠেকানোর জন্য তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে। এটাই প্রমাণিত হয়েছে তার কথায়।’
আজ শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আরো পড়তে পারেন: বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, ছাত্রলীগকে আটঘাট বেঁধে মাঠে থাকতে নির্দেশ কাদেরের
ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।’
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের এসব কথা বলার মানে হচ্ছে, তারা কিছু ইস্যু তৈরি করছে। মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদের নিয়ে নোংরা কথা বলা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ।’
জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা যেসব কথা বলেছেন, তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শুধু শুধু জিয়াউর রহমানকে টানা, এটা করতে গেলে এক সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে টানা হবে। এগুলো আমরা করতে চাই না। তারা সবাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদেরকে সেই জায়গাতেই রাখা উচিত।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধু বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেই মামলাগুলোকে আবার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার নীল নকশা। দু’বছর পরে যে জাতীয় নির্বাচন তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে।’