সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ | ১৭ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৪ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

বরিশালে এবার ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে দুই মামলার আবেদন


প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২২ আগস্ট, ২০২১ ১২:০১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বরিশালে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান  ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন এবং বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার বাদী হয়ে ওই মামলা দুটির আবেদন করেন।

দুটি মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধাদান, বিনা উস্কানীতে বিসিসি’র কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলিতে একাধিক ব্যাক্তির অঙ্গহানী এবং ৩০/৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুটি মামলার মধ্যে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় আসামি করা হয়েছে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, ওই থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক, ইউএনওর নিরাপত্তারক্ষী পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জন।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারের করা মালায় আসামি করা হয়েছে ইউএনও মুনিবুর রহমান, তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জন।

বাদীর পক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আদালত মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

এর আগে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মামলা দুটি দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। এছাড়া মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৯৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা দুটির অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করলে আইন অনুযায়ী মেয়র সাময়িক বরখাস্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পোস্টার অপসারণ নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জ‌ড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আনসার‌ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলি চালায় আনসার সদস্যরা। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন ৩০ জন।

এর জের ধরে ইউএনওর বাসায় হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ এসে ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে সেখানে লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর