শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া



নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৮ আগস্ট, ২০২১ ৪:২৫ : অপরাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।

আজ (১৮ আগস্ট) বুধবার বিকেলে ৪টার দিকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে টিকা নিতে তিনি রাজধানী মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার টিকা নেওয়া খবর প্রকাশিত হলে দুপুর থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভিড় করে। তারা হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি প্রবেশ করলে তা ঘিরে রাখে। এই কারণে গতবারের মতো আজও খালেদা জিয়াকে গাড়িতে রেখেই তার শরীরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্নার টিকা পুশ করা হয়।

এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

গত ১৯ জুলাই মর্ডানার প্রথম ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া। ওই দিনও তিনি অসুস্থতার কারণে হাসপাতালের বাইরে গাড়িতে বসেই টিকা নিয়েছেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্তকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

টিকা নেয়ার আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। গত ১৪ এপ্রিল তার করোনায় আক্রান্তের খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন খালেদা। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ আসে।

তারপরও শারীরিক সমস্যা থাকায় প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থাকতে হয় খালেদা জিয়াকে। কিছুদিন সেখানকার করোনারি কেয়ার ইউনিটেও (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল তাকে। ৫৪ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন গুলশানের বাসায় ফেরেন আসেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে দল থেকে জানানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও দুইবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ান সরকার।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর