রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ আগস্ট, ২০২১ ২:৩৫ : অপরাহ্ণ
অবশেষে সমস্ত আশঙ্কার অবসান। চারদিক থেকে কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাবুলে প্রবেশ করে সংঘর্ষ এড়াতে তালেবান যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা। যারা কাবুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান, তাদের যাতে নিরাপদে শহর ছাড়তে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মহিলাদের অনুরোধ করা হয়েছে, নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য।
যদিও ইতিমধ্যেই কাবুলের কিছু জায়গায় গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
এদিকে কূটনীতিকদের কাবুল থেকে বের করে নিয়ে আসছে আমেরিকা।
কাতারের সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, তালেবানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘কাবুল এখন আমাদের দখলে। তবে আলোচনার মাধ্যমেই আফগান সরকারের থেকে ক্ষমতার হস্তান্তর চাই আমরা। আমরা এখন আফগান সরকারের বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি কি তালেবানদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন-কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
তবে তার চিফ অব স্টাফ টুইটে কাবুলের জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উদ্বিগ্ন হবেন না। কোনো সমস্যা নেই। কাবুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টি তালেবানের হাতে ছিল। কিন্তু এর পর কার্যত ঝড়ের গতিতে এগোতে শুরু করে তালেবান। একে একে হেরাট, আয়বাক, গজনি, কন্দহর, তালিকান, কুন্দুজ দখল করে তারা। উত্তর দিক থেকে কাবুলের প্রবেশ পথ মাজার-ই-শরিফও একদিনেই দখল করে নেয় তালেবান। তার পর আজ (১৫ আগস্ট) রোববার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখল করে তারা। এ পর্যন্ত মোট ২৬টি প্রদেশ তালেবানের দখলে চলে গেছে।
তালেবানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে এ বছর ৯ মার্চ থেকে সেনা সরাতে শুরু করে আমেরিকা। তার পর থেকেই ডালপালা মেলতে শুরু করে তালেবান। জুন মাসের শেষ দিকে সরাসরি আফগান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বাধে তাদের। তাতে আফগান বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে এগোতে শুরু করে তালেবান। তার পর দেড় মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল নিতে যাচ্ছে তারা।