প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪৪ : পূর্বাহ্ণ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় হারুনুর রশিদ মোল্লা ওরফে হারুন মোল্লা (৪৫) এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকেউপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার হাটের পশ্চিম তালতলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন মোল্লা উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত নছিবুল হকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
নিহত হারুন মোল্লার পরিবার ও উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়েছে।
নিহত হারুন মোল্লার ভাই আমিনুল হক রাজনীতি সংবাদকে অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিন আগে হারুন মোল্লার ছেলে সজিবের সাথে কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে ১৫-২০ জনের সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারীরা শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় চৌকিদার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে তাকে।
তিনি বলেন, সজিবের বাবা হারুন মোল্লা এ খবর পেয়ে ছেলেকে বাঁচানের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে স্থানীয় চৌকিদার বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে তিনি স্থানীয় তালতলা নামকস্থানে পৌঁছলে অস্ত্রধারীদের মুখোমুখি পড়ে যান। এ সময় অস্ত্রধারী রিয়াদ, নাফিস, ইউসুফসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তাকে প্রথমে গুলি করে। এরপর তারা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে বের করে ফেলে।
এ সময় হারুন মোল্লার ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকেও (২৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা। তবে তার আরেক ভাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুন মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তার ভাতিজা রমিজ নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.আকরামুল হাসান রাজনীতি সংবাদকে জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।