জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন কার্যতপক্ষে একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে তিনি ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনির দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালায়।’
শনিবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসাথে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায় তাদেরও রাজনীতি এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতকের পক্ষে যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতে মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে খাটো করে কেউ কি রাজনীতি করতে পারবে, পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশে পারে।’
করোনার টিকা নিয়ে বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা নিয়ে কত কুৎসা আর অপপ্রচার চালালো বিএনপি। আবার টিকাও নিল। বিএনপির নেতারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে গাধা জল গোলা করে খাওয়ার মতো কাজটাই করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। বিএনপি মনে করেছিল, টিকা আমরা সংগ্রহ করতে পারবো না। গণটিকা কার্যক্রম যখন শুরু হয়েছে তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
করোনা সম্পর্কে কিছু বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার শুরুতে অনেকে আশঙ্কা করেছেন। যেসব বুদ্ধিজীবী টকশোবিদ, যারা রাত ১২টার পর টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন, তাদের কিচিরমিচিরের কারণে অনেক সময় কান ঝালাপালা হয়। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, দেশে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরবে। তাদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’