নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০২১ ২:০১ : অপরাহ্ণ
দেশে সরকারের পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামীকাল (৭ আগস্ট) শনিবার থেকে গণ টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও ‘‘ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ শুরু হতে যাচ্ছে।
এই টিকাদান ক্যাম্পেইন কীভাবে শুরু হবে, সেই বিষয়ে আজ (৬ আগস্ট) শুক্রবার মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, ৭ থেকে ১২ আগস্ট ছয় দিনে দেশের ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
ক্যাম্পেইনে টিকা গ্রহণকারীদের বয়সসীমা প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২৫ বছর। ১৮ বছরের অনেকেরই এনআইডি কার্ড নেই, ফলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। সেজন্য সর্বনিম্ন বয়স ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ক্যাম্পেইনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের। এছাড়া দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ক্যাম্পেইনে যেসব এলাকায় টিকা দেয়া হবে:
৭ আগস্ট সারাদেশে সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায়
৭ আগস্ট ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় টিকা দেয়া সম্ভব হবে না, সেসব এলাকায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেয়া হবে
৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম/প্রত্যন্ত অঞ্চলে
১০ থেকে ১২ আগস্ট বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের
ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, টিকাকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বেই রাজনীতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই টিকা প্রদানের পরিমাণ বেড়েছে। গত দশদিনে ৩০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বড় আকারে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন না করতে পারলে বিরাট জনগোষ্ঠীকে কাভার করা যাবে না। এটা আমাদের কাছে একটি পাইলট প্রজেক্ট।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।