নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩ আগস্ট, ২০২১ ৪:৪০ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে পৃথক ৪ মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাজধানীর মিরপুর থানার প্রতারণা মামলা ও পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনের পৃথক মামলায় ৪ দিন করে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান।
এছাড়া গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি।
এতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো।
রিমান্ডের আদেশ শুনে হেলেনাকে এজলাসে বেশ বিচলিত দেখা যায়। এ সময় এজলাসে অস্থির হয়ে পড়েন তার স্বামী জাহাঙ্গীর।
এর আগে হেলেনাকে গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ শাহানুর রহমান আবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
৩১ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়ামিন কবির টেলিযোগাযোগ আইনে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। একই দিনে মিরপুর থানার প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন করে আলোচনায় আসেন। এরপর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২৯ জুলাই তার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-১-এর একটি দল। অভিযানে জব্দ করা হয় ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেকবই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার ৪৫৬টি চিপস। পরে মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৩০ জুলাই রাতেই তাকে বাসা থেকে আটক করে র্যাব। সেদিন বিকেলে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে।