নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩০ : পূর্বাহ্ণ
কঠোর লকডাউনের মধ্যে খুলেছে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী সকল শিল্পকারখানা। কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল থেকেই কারখানায় আসতে শুরু করে কর্মীরা।
শিল্প শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে আজ (১ আগস্ট) রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় ফিরছেন শ্রমিকরা।
সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজার হাজার মানুষকে পার হতে দেখা গেছে। যানবাহন পরিবর্তন করে, পণ্যবাহী যানবাহনের ছাদে করে বা হেঁটে ঢাকার পথে রওনা দিতে দেখা গেছে। তবে এখনো অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি।
সব পোশাক কারখানায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় এ কে এম রহমতুল্লাহ গার্মেন্টস, আর টেক্স ফ্যাশন, জান কম্পোজিট ইউনিট লিমিটেড (ইউনিট-২), ড্রেস ফাই নেটওয়ার্ক, ইনজেক্ট ফ্যাশনসহ বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানায় ৮টার আগেই দলে দলে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। তাদের বেশিরভাগই নারী শ্রমিক।
শ্রমিকদের অনেকেই জানান, হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে অনেক কষ্ট করে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ঢাকাতেই ছিলেন।
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এতোদিন শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে অনড় ছিল সরকার। ঈদের আগের লকডাউনের মধ্যে জরুরি ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিল্পকারখানা চালু ছিল। করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হওয়ায় সব শিল্পকারখানাও ৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
ঈদুল আযহার পরদিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ঈদের পর তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করেছে শিল্পমালিকরা। এরপর সরকার ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।