ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চলা আরেক ভুঁইফোঁড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খানকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ‘দর্জি মনির’ নামে পরিচিত।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে মনিরকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, মনিরকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের উল্টো পাশের একটি কাপড়ের দোকানে দরজির কাজ করতেন এই মনির খান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলটির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন তিনি। মুজিব কোট পরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। তাকে বেশি দেখা যেতো ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে। কারণ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়েই একসময় দরজির কাজ করতেন মনির খান।
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতার সঙ্গেই মনির খানের ‘ওঠা-বসার ছবি’ আছে।
অভিযোগ আছে, এসব ছবির অধিকাংশই ফটোশপে কারসাজিকরে তৈরি করা। মনির জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তিনি মনোনয়ন পাননি।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’-এর মতো সংগঠনের সঙ্গে দলটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এ ধরনের ভুঁইফোঁড় সংগঠন চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে ‘চাকরিজীবী লীগের’ নামে সংগঠন দাঁড় করানো এবং জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর পরই আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে।
পরে গত শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এখন তিনি ডিবির রিমান্ডে রয়েছেন। এর মধ্যেই ‘দর্জি মনিরের’ আটকের খবর এলো।
