শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

ঘাটে বেড়েছে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়


নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২১ ১০:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই আগামীকাল (১ আগস্ট) রোববার থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা। এই ঘোষণার পর পরই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার রপ্তানিমুখী কারখানার কর্মীরা।

আজ (৩১ জুলাই) শনিবার রাজবাড়ী-মাদারীপুর, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরিগুলোতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপারের হিড়িক পড়েছে। বৈরি আবহওয়ার মধ্যেও সকাল থেকে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সকাল থেকে পোশাক ও কারখানার শ্রমিকদের ঢল দেখা গেছে। ১০টি ফেরিতে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল এসে নামছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শিমুলিয়া ঘাটে নেমে ছোট ছোট যানে করে ভেঙে ভেঙে ঢাকার দিকে রওনা হচ্ছেন তারা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছেছেন হেঁটে, অটোরিকশায় কিংবা মাহেন্দ্রতে চড়ে। যানবাহন কম থাকলেও যাত্রীবোঝাই ফেরি ছেড়েছে এ ঘাট থেকে।

অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে ঘাটে আসছেন। তা নিয়েই সরাসরি ফেরিতে উঠছেন। দেখা গেছে, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত কিছু গাড়িও।

শুধু জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চালুর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ঘাট অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও নানা অজুহাত দেখাচ্ছে যাত্রীরা।

যাত্রীদের দাবি, প্রয়োজনীয় কাজ এবং জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।

ঘাটে বেড়েছে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যানগাড়িতে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা চলাচল করছেন।

শ্রমিকদের অতিরিক্ত চাপে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী, জৈনাবাজার, নয়নপুর, মাওনা চৌরাস্তা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী, বাঘের বাজার, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা ও টঙ্গী এলাকার শ্রমিকরা দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।

পোশাককর্মীরা বলছেন, গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই যেকোনো উপায়ে গার্মেন্টসে যোগদান করতে হবে, না হলে চাকরি থাকবে না। এসব যাত্রীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

রাজবাড়ী থেকে থেকে অটোরিকশায় দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কলিম উল্লাহ জানান, রোববার থেকে অফিস খুলছে। তাই ঢাকায় ফিরছি। লকডাউনের কারণে পথে পথে ভোগান্তি হচ্ছে, টাকাও খরচ হচ্ছে বেশি। তারপরও যেকোনো উপায়ে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তারা যেকোনো উপায়ে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর