নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৫ জুলাই, ২০২১ ১২:৩১ : অপরাহ্ণ
হাজার নিষেধেও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। কাঁচাবাজার থেকে ওষুধ কেনাসহ নানা অজুহাতে বাসার বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। কেউবা উপার্জনের আশায় নামছেন সড়কে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে আজ সোমবার (৫ জুলাই) ঢাকার রাস্তায় আগের চারদিনের তুলনায় মানুষ ও যানবাহন ছিল বেশি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেট ঘুরে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সড়কে মানুষের চলাচল বেশি। পাশাপাশি বেড়েছে রিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। রাস্তায় পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা লকডাউন কার্যকর করতে অবস্থান নিয়েও লোকজনকে ঠেকাতে পারছে না। প্রতিটি চেকপোষ্টে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নানান অজুহাত তুলে ধরছে। প্রধান সড়কের তুলনায় রাজধানীর অলিগলিতে মানুষের চলাচল আরও বেশি।
কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে আজ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খুলেছে। নগরীর সব এলাকাতেই পুলিশ চেকপোস্টে লোকজনকে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলছেন, ব্যাংকে যাবেন, কাজ আছে। তখন আর তাদেরকে আটকে রাখা বা ঘুরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে আজ থেকে আবার ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। সস্তায় পণ্য কেনার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে লোকজন রাস্তায় বের হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লোকজন বলছেন, টিসিবির পণ্য কিনতে যাবেন। ট্রাক কোথায় আসবে তা খুঁজছেন। তখন আর পুলিশ তাদেরকে কিছু বলতে পারছে না।
এছাড়া করোনার টিকা নিতে মানুষের চলাচল তো রয়েছেই। প্রবাসীরা বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে কঠোর লকডাউন অনেকটাই শিথিল হয়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুলিশ ৬১৮ জনকে আটক করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৬১ জনকে ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। যা আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে ২১টি শর্ত দিয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।