করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে চলমান কঠোর লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
আজ সোমবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদের এক প্রজ্ঞাপনে ২১ দফা নির্দেশনা উল্লেখ করে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।
লকডাউনের চুতর্থ দিন রোববার চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও। গত ২৮ জুন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭ দিন পর এই লকডাউন বাড়ানোর বিষয় বিবেচনায় রয়েছে। এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। আর আজ লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো সরকারের পক্ষ থেকে।
লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দপ্তর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।
লকডাউন বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন জারি করে। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সারা দেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়।