নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২১ ১০:০১ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ এবং বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় কেনা চীনের সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা পৃথক চারটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় পাওয়া মডার্নার তৈরি ১২ লাখ ও চীনের সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে।
এরআগে গতকাল শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি ১৩ লাখ ও চীনের সিনোফার্মের ১০ লাখ করোনার টিকা ঢাকায় পৌঁছে।
গতরাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো মডার্নার টিকা বিমানবন্দরে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ টিকার প্রয়োজনীয়তা এবং যত দ্রুত সম্ভব তা পৌঁছানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াকিবহাল। এটা ( মডার্নার চালান) কেবল সূচনামাত্র।
এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা (শনিবার) সকালে এসে পৌঁছাবে।
টিকার সঙ্কটে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ছন্দপতনের কথা তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা জোরেশোরে শুরুর পরও কাঙ্ক্ষিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি, টিকার আর কোনো অভাব হবে না। আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে। আর এই টিকা ৫ কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।
গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ উপহারের টিকা বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরো ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায় চীন। সব মিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। আর এই প্রথম চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা টিকা বাংলাদেশে এসেছে।