নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৮ জুন, ২০২১ ১২:৪৫ : অপরাহ্ণ
সকাল ১০টা। রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড। অসংখ্য মানুষের ভিড়। রাস্তায় বিপুল সংখ্যক রিকশা। প্রাইভেট কারের আধিক্য। চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলও। নেই শুধু কোনো গণপরিবহন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলাকালে এই চিত্র দেখা গেছে।
আজ থেকে দেশজুড়ে তিনদিনের সীমিত বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে। এবার বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহন বন্ধ ও সরকারী-বেসরকারী অফিস সীমিত পরিসরে চালু রাখার কথা বলা হয়েছে।
গণপরিবহন বন্ধ রেখে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত চালু থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পেশাজীবী মানুষ। অটোরিকশা ভাড়া চাইছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। কোথাও কোথাও নেই রিকশাও। অনেকে বেশি ভাড়ায় রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ।
সরকারী নির্দেশনায়, অফিসগুলোকে তাদের কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বহু প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। ফলে অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই অফিসের দিকে ছুটেছেন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, কারওয়ান বাজার, খিলক্ষেত, নীলক্ষেত, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, আসাদগেটসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীরা গণপরিবহনের অভাবে দুর্ভোগে পড়ছেন।
খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষ গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু কোনো যানবাহনের দেখা নেই। গাড়ি না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটেই রওনা হন অফিসের উদ্দেশে। আবার অনেককেই ভ্যান ও রিকশায় করে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শহীদুজ্জামান অফিসে যাওয়ার পথে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকার গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এ কষ্ট কে বুঝবে।’