নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ জুন, ২০২১ ৫:৫৮ : অপরাহ্ণ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ পুরুষ ও ৪৪ নারী। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশে করোনায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬৮ জন।
রোববার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১.৫৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩.৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৯ জনের মধ্যে ২৪ জন ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২২, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ৩২, বরিশালে ২, সিলেটে ৫, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৭২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। ভারত সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রুত বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আজ সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সাত জেলা হলো মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।