সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

‘বিএনপির ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছা নেই’


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ জুন, ২০২১ ৭:০১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

‘আপনারা কি খালেদা জিয়ার চেহারা দেখেছেন? আপনারা যদি তার চোখ দুইটার দিকে দেখেন, একটা ডিপ্রেশনের ভাব—এটা আলঝেইমারের (স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া) পূর্ব লক্ষণ। তারা (সরকার) যেভাবে উনাকে জীবিত থেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এটা বিএনপির লোকেরা হয়ত উপলব্ধিই করে না।’

আজ শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি যদি উনার (খালেদা জিয়ার) মুক্তি চায়, আমি বারে বারে বলেছি, তারেক (তারেক রহমান) দুই বছর চুপচাপ বসে থাকো। পারো তো বিলাতে লেখাপড়াতে যুক্ত হয়ে যাও। সেখানে বহুভাবে লেখাপড়া করা যায়।’

তার এ বক্তব্যের এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওছার জাফরুল্লাহকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘স্যার, আপনি বিএনপির কে? আপনি বিএনপিকে নিয়ে কেন উল্টোপাল্টা কথা বলেন?’

জাফরুল্লাহ জবাবে বলেন, ‘আমি বিএনপির কিছু না। ওই যে গণতন্ত্রে আমার কথা বলার অধিকার আছে।’

ওমর ফারুক বলেন, ‘আপনি বিএনপির কেউ নন। অথচ আমাদের নেতা নিয়ে কথা বলেন।’

এ কথা শুনে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার কথা শেষ হোক, আমার কথাটা শুইনা তারপরে বলেন। আপনাদের ভালোর জন্য কইতাছি। আপনাদের ভালোই বুঝেন না আপনারা।আপনাদের ভালোর জন্যই বলছি।’

তখন ছাত্রদলের ওই নেতা বলেন, ‘না না, আমরা অবশ্যই বুঝি, আমরা আমাদেরটা বুঝি, আপনি আপনারটা বোঝেন। আপনি আমাদের নেতাকে নিয়ে কখনো কথা বলবেন না। আপনি আপনাকে নিয়ে কথা বলেন। আপনি জয়কে (সজীব ওয়াজেদ) নিয়ে বলেন, তাকে নিয়ে তো কিছু বলেন না, সিনিয়রদের নিয়ে বলেন।’ পরে এ ছাত্রদল নেতা সভা থেকে দ্রুত চলে যান।

শিক্ষায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং করোনাকালীন শিক্ষা বাজেট: ২০২১-২০২২’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে এডুকেশন রিফর্ম ইনশিয়েটিভ (ইআরআই)।

বিএনপির ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছা নেই মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষমতায় আসতে হলে ইচ্ছা, আগ্রহ থাকতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিকল্পনা করতে হবে যে, কী কী জায়গায় পরিবর্তন আনবে। সেগুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে ওহি নিয়ে। আর সে ওহি লন্ডন থেকে আসে। আমরা লক্ষ করছি, সম্প্রতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করি, স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। সে পরিবর্তন আনতে হবে বিএনপির নিজ ঘর থেকে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, শিক্ষাবিদদের প্রত্যাশা ছিল এই অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ২০% শিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া। কিন্তু গতানুগতিকভাবে এ বছরও শিক্ষায় বরাদ্দ হয়েছে ১১.৯২ শতাংশ। জাতীয় আয়ের (জিডিপি) হিসাবে ২.০৮ শতাংশ অর্থাৎ বড় বাজেটে সীমিত বরাদ্দ। যদিও আমরা বরাবরই শুনে থাকি শিক্ষাখাতে প্রায় ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ মানব সক্ষমতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৪ মাস ধরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এইভাবে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে তা পৃথিবীর মানুষ কখনো দেখেনি। এমন একটা পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে আমাদের চাপ নেই। এরা কীসে যে, চাপ বোধ করেন তা বোঝা যায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর