চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী জঙ্গিবাদের জুজু তুলে খাল কেটে কুমির আনার অপচেষ্টা করছেন অভিযোগ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (১৮ জুন) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস এ অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে আবু রেজা নদভী অভিযোগ তুলেন, হেফাজতের নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর কারণে তিনি গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফির জানাযায় অংশ নিতে পারেননি।
নদভী জানাযায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় হাটহাজারী বাস স্টেশন চত্বরে বাবুনগরীর নির্দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এবং আল কায়েদা ও আইএসের আদর্শে গড়ে ওঠা মানহাজি গ্রুপের সদস্যরা তাকে বাধা দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আবু রেজা নদভীর এ বক্তব্যকে চরম মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস বিবৃতিতে বলেন, আল্লামা শফির জানাজায় অংশগ্রহণে কারও জন্য কোনো বাধা ছিল না। ফলে কোনো প্রকারের অনুমতি দেওয়া ও নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তার জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মুসল্লির নির্বিঘ্নে স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতিই ছিল তার জলন্ত প্রমাণ।
এই হেফাজত নেতা বলেন, জানাজায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল স্থানীয় প্রশাসন। মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে জানাজায় হযরতের লাশ রাখতে হয়েছিল মাদ্রাসার বাইরে ডাকবাংলো চত্বরে। স্থানীয় এমপিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। কী অজানা কারণে আবু রেজা নদভী সাহেব জানাজায় অংশগ্রহণ করেননি, তা আমাদের জানা নেই।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস প্রশ্ন রাখেন, আবু রেজা নদভী কখন কার কাছে অনুমতি চেয়েছেন? মহান আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এ প্রশ্নের জবাব কি আদৌ তিনি দিতে পারবেন? নাকি রকি বড়ুয়া প্রসঙ্গ এবং অভ্যন্তরীণ অডিও ফাঁস হওয়ার ইস্যুতে নিজের প্রশ্নবিদ্ধ রাজনৈতিক অবস্থানকে ধামাচাপা দিতেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে হেফাজত ও আল্লামা বাবুনগরীকে ঢাল বানাচ্ছেন।
এই হেফাজত নেতা বিবৃতিতে আরও বলেন, আবু রেজা নদভী সাহেব একজন বড়মাপের এনজিও ব্যক্তিত্ব। বেশির ভাগ এনজিও ব্যক্তিদের কর্মপদ্ধতি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ক্ষমতাধরদের তেল মেরে নিজেদের আখের গোছানো। দেশে কোনোপ্রকার অস্থিরতার সৃষ্টি হলে বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য রাস্তা উন্মুক্ত রাখা। যেখানে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে- কওমি মাদ্রাসাগুলো কোনো প্রকার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, সেখানে তিনি কাকে খুশি করার জন্য জঙ্গিবাদের জু-জু তুলে খাল কেটে কুমির আনার অপচেষ্টা করছেন-জাতির কাছে এটা রহস্যজনক।
আারও পড়ুন:
https://rajnitisangbad.com/2021/06/17/%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82/