শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

বসুরহাটে কাদের মির্জার নেতৃত্বে বাদলের ওপর হামলা, ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা



প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২১ ১১:০৪ : পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বাদলের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ও কানের একটি অংশ ছিড়ে যায়। তার গাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাদলের সাথে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুল হোসেন আলালকেও মারধর করা হয়।

শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় বসুরহাট বাজারে প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছেন বাদলের অনুসারীরা। ফেসবুক লাইভে এসে হরতালের এ ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও কাদের মির্জার ভাগ্নে মাহবুবুর রহমান মঞ্জু।এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছেন বাদলের অনুসারীরা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি এবং সাবেক ছাত্রনেতা আলাল ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে আমার গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন আমার গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে বুকের হাড়, হাত-পা ভেঙে মাথা ফাটিয়ে দেয়।’

পরে পুলিশি পাহারায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো.জোবায়ের জানান, হামলায় বাদলের বুক, হাত, পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরসহ মিজানুর রহমান বাদল ও হাসিব আহসান আলালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ ঘটনার পর বসুরহাটে আবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কাদের মির্জা ও বাদুল গ্রুপের দ্বন্দ্বে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ইতোমধ্যে একজন সাংবাদিকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর