নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১২ জুন, ২০২১ ৭:২৯ : অপরাহ্ণ
তা আগেই অনুমেয় ছিল। শাস্তি পেতে পারেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে, অশোভন আচরণের দায়ে এই তরকা ক্রিকেটারকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
আজ শনিবার (১২ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ।
শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে অসদাচরণ করায় সাকিবকে এ শাস্তি দেয়া হয়। মোহামেডানের এ অধিনায়ক শাস্তি মেনে নেওয়ায় এ ঘটনায় আর কোনো শুনানির প্রয়োজন নেই।
আজ দুপুর দুইটার দিকে ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের পাঠানো শাস্তির নোটিশ হাতে পান সাকিব। চিঠিতে সাকিবের বিরুদ্ধে লেভেল-৩ পর্যায়ের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এনে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে অশোভন আচরণ করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুবার মেজাজ হারিয়েছেন তিনি। আবাহনীর ইনিংসে ঘটনাটি ঘটে। তখন উইকেটে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের করা বল ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের প্যাডে লেগে যায় বল। সঙ্গে সঙ্গে এলবির আবেদন তোলেন সাকিবরা। খালি চোখে দেখে আউটই মনে হয়েছিল। কিন্তু সাকিবদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাড়া না পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে স্টাম্পে লাথি মেরে বসেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব।
এরপর আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সতীর্থরা তাঁকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় আবাহনীর সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটে ২১ রান। বৃষ্টির সম্ভাবনা শুরু হয়। তাই বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থাকতে পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে শান্ত চড়াও হন। এর পরই বৃষ্টি নামে।
সেই সময় মিডঅফে ছিলেন সাকিব আল হাসান। মুহূর্তের মধ্যে দৌড়ে এসে তিনটি স্টাম্প উপড়ে ফেলে দেন মোহামেডান তারকা। আম্পায়ারের সঙ্গে ফের তর্কে জড়ান তিনি। আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকেও গিয়েও কিছু বলতে দেখা যায়। এই ঘটনা দেখে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও তেড়ে যান সাকিবের দিকে। তাঁকে গিয়ে শান্ত করেন মোহামেডানের ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ। সতীর্থরা এসে শান্ত করেন সাকিবকে।
এমনকি বৃষ্টির সময়ে আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে সাকিব কিছু বললে ক্ষেপে গিয়ে তেড়ে আসেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তখন মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সাকিবকে জাপটে ধরে থামান।