নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ জুন, ২০২১ ৬:০৫ : অপরাহ্ণ
দেশের স্বনামধন্য শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামেলি দেশের সকল ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক বড় বড় শিল্পগ্রুপ এবং ব্যবসায়ী আছেন যারা মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন না। সে জায়গায় সুফি মিজানের নেতৃত্বে পিএইচপি ফ্যামিলি সবসময় সরকার ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। আর সুফি মিজান নামটি সারাদেশে এখন একটি ব্র্যান্ড।’
আজ শুক্রবার (১১ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটায় সুফি মিজান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে এম্বুল্যান্স উপহার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আর্ত—মানবতার সেবায় হাসপাতালকে দেওয়া পিএইচপি অটোমোবাইলস’র তৈরি এম্বুল্যান্সের ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, পিএইচপি অটো মোবাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকতার পারভেজ হিরু।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে সুফি মিজানকে উদাহারণ হিসেবে তুলে ধরেন। উনি যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান তখন তিনি কারো সাথে ব্যবসায়িক কোনো আলোচনা করেননি। বরং সবার উদ্দেশ্যে বলেছেন ব্যবসার লাভের কিছু অংশ আর্ত মানবতার জন্য দেয়া কর্তব্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিএইচপি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শুরু করে করোনাকালীন বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাপপাতালে বড় বড় অনুদান দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবসময় দিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সেভাবে পরিচিত ছিলোনা। কিন্ত করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পিএইচপির সহযোগিতায় হাসপাতালটি আজ বেশ সুনাম অর্জন করেছে। আজ এই হাসপাতালে পিএইচপি ফ্যামিলি তাদের কারখানায় তৈরি এম্বুল্যান্স উপহার হিসেবে দিচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের।’
অনুষ্ঠানে পিএইচপি অটোমোবাইলস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ বলেন, ‘আমরা গতবছরও করোনাকালীন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও আমরা মানুষের পাশে ছিলাম এবং আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানির বিক্রিত গাড়ির লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত অর্থ আমরা সাধারণ মানুষের সেবায় ব্যয় করার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত রাখবো ইনশাল্লাহ।’