নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৫ জুন, ২০২১ ১:২৮ : অপরাহ্ণ
পৃথক ছয় মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আলমের আদালতে শুনানি শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার মধ্যে তিনটি করেছে জেলা পুলিশ, দুটি করেছে সিআইডি এবং একটি করেছে পিবিআই।
পিবিআইয়ের করা মামলায় গত বুধবার সর্বশেষ মামুনুল হককে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এর আগে ১২ মে নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় মামুনুল হকের তিন দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, গত ১৮ মে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মামুনুল হককে রিমান্ডে আনা হয়। প্রথম তিনদিন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সম্পর্কে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক আরও পাঁচটি মামলায় পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ছয়টি মামলায় ছয়জন তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কোনো মামলায় মামুনুল হক আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেননি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল প্রলোভন, প্রতারণা, নির্যাতনের অভিযোগ এনে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
মোদিবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে বেপরোয়া তাণ্ডবের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডে মামুনুল হককে নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাণ্ডবের অভিযোগে একে একে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।