রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ জুন, ২০২১ ১২:১৫ : অপরাহ্ণ
শ্রীলঙ্কার কলম্বো উপকূলীয় সাগরে কয়েক হাজার টন রাসায়নিকবোঝাই একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। এমভি এক্স পার্ল নামে সিঙ্গাপুরের এই জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম এলএন ডব্লিউ জানায়, টানা দুই সপ্তাহ শ্রীলঙ্কার উপকূলে এই কার্গো জাহাজ আগুনে পোড়ার পর বুধবার এটি ডুবতে থাকে। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের নৌবাহিনী জাহাজের দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে। শত চেষ্টার পরও জাহাজ ভেঙে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনি তারা। অবশেষে ডুবে যায় এক্সপ্রেস পার্ল।
এ ছাড়া জাহাজটিতে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি ২৫ টন নাইট্রিক এসিড রয়েছে। কয়েকটি কন্টেইনার এরই মধ্যে পানিতে পড়েও গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তেল ও রাসায়নিকবাহী এই জাহাজডুবি পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হতে পারে। বিশেষ করে কয়েক হাজার টন তেল সাগরের পানিতে ছড়িয়ে পড়লে সমুদ্রের জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এতে সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিরের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলম্বো সমুদ্রবন্দর থেকে কিছুটা দূরে নেগম্বো শহরের উপকূলে সম্ভবত রাসায়নিকের বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় জাহাজটিতে। ঝোড়ো বাতাস এবং সমুদ্রের উত্তাল আবহাওয়ার কারণে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর মুখপাত্র ইন্দিকা সিলভা বিবিসিকে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমাতে উদ্ধারকর্মীরা জাহাজটি দুই খণ্ড হওয়ার আগেই টেনে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে জাহাজের পেছনের অংশ পানিতে ডুবে গেছে।’
এক হাজার ৪৮৬টি কন্টেইনার নিয়ে ১৫ মে ভারতের গুজরাট রাজ্যের হাজিরা বন্দর ত্যাগ করে ৬১০ ফুট দৈর্ঘের এই জাহাজটি।এতে ১ হাজার ৪৮৬টি কন্টেইনারে ২৫ টন নাইট্রিক এসিডসহ অন্যান্য আরও কিছু রাসায়নিক ও কমমেটিকস ছিল।
সিঙ্গাপুর ও কাতারের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত জাহাজটিকে কেন কলম্বো বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীলঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের ধারণা, জাহাজটির ক্রুরা ১১ মে থেকে অর্থাৎ যাত্রা শুরুর আগে থেকেই রাসায়নিক লিকেজের ব্যাপারে জানতেন। জাহাজটির ক্যাপটেন, প্রধান প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে টানা ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। এরই মধ্যে এই তিনজনকে শ্রীলঙ্কা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে লঙ্কান আদালত।
দেখুন ভিডিও-