নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০২১ ৩:০১ : অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়া থেকে সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে আনা ৪২ মেট্রিক টন আমদানি নিষিদ্ধ আফিম তৈরির উপকরণ পপি বীজ আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ১২ টন সরিষা বীজের সাথে ৪২ টন (৪২ হাজার কেজি) পপি বীজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস নেওয়ার আগে জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এই পপি বীজ এনেছে আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। জব্দ হওয়া পপি বীজের মূল্য ১৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ১৭ লাখ ডলার।
আজ মঙ্গলবার (১ জুন) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালানটি আটক করে পণ্যের নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে পাঠায় কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। রাসায়নিক পরীক্ষায় মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি প্রমাণ হওয়ায় চালানটি আটক করা হয়।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া থেকে ৫৪ টন সরিষা বীজ আমদানির কাগজপত্র দাখিল করে আজমিন ট্রেড সেন্টার। গত ১৮ এপ্রিল শুল্কায়ন করা হয়। আমদানিকারক ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা শুল্ককর পরিশোধ করেন। চালানটি আমদানিতে ঋণপত্রের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৬ হাজার ৩০০ ডলার পাঠানো হয়। অবৈধ পথে বাকি ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে। এ চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ‘সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় লাখ টাকার শুল্কও পরিশোধ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটক করে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন পপি বীজ পাওয়া যায়।’
জানা গেছে, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, পপি বীজ আমদানি নিষিদ্ধ। পপিগাছ থেকে আফিমসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।