নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ মে, ২০২১ ৭:৩৫ : অপরাহ্ণ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের জন্য দেওয়া পুলিশের সুরক্ষা ছাড়া আমার পেছনে কোনো গাড়ি থাকে না। আর মামুনুল হক সাহেব যখন বের হতো, সামনে পাঁচটা পেছনে পাঁচটা এমনকি বিভিন্ন সময়ে আরও বেশিও গাড়ি থাকতো।’ মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই টাকা কিসের টাকা ? তার কি কোনো ইন্ডাস্ট্রি আছে, তার কি কোনো ব্যবসা আছে? ব্যবসা হচ্ছে মাদ্রাসা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ‘ধর্মের নামে অরাজকতা, তথাকথিত ধর্মীয় নেতাদের ধর্মহীনতা এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃত আলেমদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে না, তারা আল্লাহপাকের কাছে প্রার্থনা করেন। মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য বয়ান করেন। সাম্প্রতিক কিছু আলেম নামধারী ব্যক্তিবর্গ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোতে লিপ্ত। যেসব আলেম ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করেন, তারা প্রকৃত আলেমদের শত্রু।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলেম হয়েও বাবুনগরী-মামুনুল হকের অবৈধ সম্পদের ফিরিস্তি বেরিয়ে এসেছে। কোন দেশে দোকান আছে, ক’টা লরি আছে, এগুলো বেরিয়ে এসেছে। মাদ্রাসা দেখিয়ে বিভিন্ন দেশ এবং দেশের বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে তারা চাঁদা সংগ্রহ করেন। সেই টাকা দিয়ে পরস্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যান ফুর্তি করার জন্য। এমনকি জাকাত-ফিতরার টাকাও তারা আরাম আয়েশের জন্য নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে গেছেন। তারা কি আলেম! তারা আলেম নামধারী কলঙ্ক নয়?’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসলামের কথা বলে যারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেয়, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, এরা ইসলামের শত্রু। যারা ধরা পড়েছে তারা ছাড়াও ইসলামের শত্রু আরও আছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করে বর্জন করা ও তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন। এই মুখোশ উন্মোচনের কাজটি করার জন্য আলেমদের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত আলেমদের এ সভায় পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ড. মুফতি মাওলানা কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন।