রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ মে, ২০২১ ২:১০ : অপরাহ্ণ
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার দুঃখজনক মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটি কয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি। আমাদের লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। আজ তার জামিন শুনানি হচ্ছে আদালতে।
গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর হয়। রে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে চুরির অভিযোগে এবং ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
এ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘ থেকেও। উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠন।
এসব দিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলবে যা তার মন্ত্রণালয়কেই সামলাতে হবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এটি সরকারের জন্য দুঃখজনক। ঘটনাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। তবে, রোজিনা ইসলাম সুবিচার পাবেন এটা আমরা আশা করি। সাংবাদিক দুর্নীতির বিষয়ে জনগণ এবং সরকার উভয়কেই সতর্ক করে। সাংবাদিকরা না থাকলে সাহেদ এবং বালিশকাণ্ডের মতো দুর্নীতি প্রকাশ পেত না।’