নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৯ মে, ২০২১ ৪:১৬ : অপরাহ্ণ
গণমাধ্যমের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয় উল্লেখ করে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন-এর মতো একজন মানুষকে মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সেদিন যে নারীবাদীরা বের হয়েছিলেন, শাহবাগে আন্দোলন করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন, আজকে আপনারা কোথায়? নারী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে এভাবে নির্যাতন করা হলো, আটক রেখে নির্যাতন করা হলো। কেন আপনারা রাস্তায় নামছেন না?
আজ বুধবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (ডিইউজে) উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রশাসনে দলীয়করণ পোক্ত হয়েছে। ভোট ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সুতরাং মুক্তি চাইলে মুক্তি মিলবে না। রাজপথের আন্দোলনেই রোজিনা ইসলামের মুক্তি মিলবে।
বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘এই আইনে বাংলাদেশে কোনো সাংবাদিক গ্রেপ্তার সম্ভবত এই প্রথম। আইনটি ব্রিটিশরা করেছিলো বিদেশি গুপ্তচরদের ধরার জন্য। এই আইন প্রযোজ্য হলো সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের জন্য। যারা সরকারের কোনো তথ্য বিদেশে পাচার করে। সরকারকে বলেছিলাম, এই আইন বাতিল করার জন্য। বাতিল না করে সরকার বরং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ধারাটি ঢুকিয়ে দিয়েছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকরা তথ্য চুরি করে না। সাংবাদিকরা তথ্য উদ্ধার করে। তথ্য চুরি করে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, আমলারা। রোজিনা’র তথ্য উদ্ধারকে আমি অপরাধ মনে করি না। ৮২০ জন কর্মচারি নিয়োগ দিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে। সেই তথ্য কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো সাংবাদিককে দিতো? সেই তথ্য উদ্ধার করে রোজিনা কী অপরাধ করেছে? আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোজিনাকে মুক্তি বা দিলে কঠিন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে কোনো আপোস নেই।’