শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

রক্ত ঝরছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও, নিহত বেড়ে ১৪৩



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ মে, ২০২১ ১২:২০ : অপরাহ্ণ

গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। আলজাজিরা বলছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনি নাগরিক। ঈদ উপলক্ষে দেশটিতে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সংঘাত আরও ছড়ালো। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কূটনীতিকেরা সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও আগুন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে। পশ্চিম তীরের সহিংসতাগুলোর মধ্যে এই সংঘাত সর্বোচ্চ মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের এই অংশে সহিংসতা এমন সময়ে ছড়ালো যখন বিশ্ব সম্প্রদায় শান্তির আহ্বান জানাচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমানগুলো আজ শনিবার ভোরেও গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। গাজা থেকে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যহত রেখেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি হামলায় চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয়রা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকেও বোমা ছোড়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে।

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৩ ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ জন নারী। এখন পর্যন্ত ৯৫০ জন আহত হয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোঘণা দিয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল জেরুসালেমের ইসরাইলি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ছয় ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদ করে তাদের বাড়ি ইসরাইলি নাগরিকদের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। এতে করে ১০ শিশুসহ ৪০ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বাস করা ঠিকানা থেকে উচ্ছেদের শঙ্কায় রয়েছেন।

ফিলিস্তিনিরা ওই আদেশের প্রতিবাদে গত ৯ মে রাতে আল আকসা মসজিদে শবে কদরের নামাজ আদায় শেষে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি। সংঘাতের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ।

এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।

কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমল না দেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। সেই হামলা এখনও অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর