নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৩০ এপ্রিল, ২০২১ ১:৩০ : অপরাহ্ণ
গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার (২ মে) সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এছাড়া মঙ্গলবার (৪ মে) সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, বাংলাদেশে সড়ক পথে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পরিবহন হয়ে থাকে। দেশের সড়কপথের পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহনশ্রমিক কাজ করেন। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউন বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল, লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকবে। সেই হিসাবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলে পরিবহন শ্রমিকের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্ট, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ অনিরাপদভাবে চলাচল করছে দাবি করে তিনি বলেন, এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে তাদেরকে হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সংগঠনটির নেতারা। ‘আমরা বলেছি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো শাস্তি আমরা মেনে নেব—এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
এক বিবৃতিতে একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বিবৃতিতে বলেন, লকডাউনে বাস ছাড়া সবই চলছে। বাস চালু না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিকল্পভাবে সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে বরং স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামনে ঈদ, লাখ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় আছে। বহু গরিব মালিক ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। এসব দিক বিবেচনা করে কর্মহীন শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সহযোগিতা প্রদানসহ বাস চালু করার জন্য সারা দেশের মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।