নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ এপ্রিল, ২০২১ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার বহনকারী গাড়িটি হাসপাতালে পৌছায়। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানসহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেগুলো শেষ হলে তিনি আবার রাতেই বাসায় ফিরে আসবেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার চিকিৎসক দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে এফ এম সিদ্দিকী, আল মামুন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনও রয়েছেন।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে সিটি স্ক্যান করাতে খালেদা জিয়াকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ন্যূনতম সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন তার চিকিৎসকেরা।
গত ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ সনাক্ত হয়। খালেদা জিয়া ছাড়াও তার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ বাসার মোট নয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে গুলশানের ‘ফিরোজা’র বাসায় তার চিকিৎসা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। কিছুদিন পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গত বছরের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনে তাকে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।