রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৩০ : অপরাহ্ণ
ভারতে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জনের। লাগাতার তিনদিন দেশটিতে ৩ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ দিনেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ১০ লাখ। এর আগে বিশ্বের কোনও দেশেই সংক্রমণের এমন ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়েনি। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৪ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৪০ জন। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ৪৮১ জন। মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি।
সংক্রমণ বাড়ছে হুহু করে। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলিতে জায়গা পাচ্ছেন না বহু করোনা রোগী। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন,’সরকার থেকে আমাদের ৩.৫ মেট্রিকটন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছিল। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে অক্সিজেন আসার কথা ছিল। কিন্তু তা পৌঁছায় মধ্যরাতে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন করোনা রোগীর।’
জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মার্কিন গবেষণায় জানা যাচ্ছে, মে মাসে ভারতে আরও ভয়ংকর চেহারা নিতে পারে করোনা। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি হতে পারে। মার্কিন গবেষণার এই তথ্য রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারতে এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ মে ভারতে একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৫ হাজার ৬০০। ১২ এপ্রিল থেকে ১ অগাস্টের মধ্যে দেশে মৃত্যু হতে পারে ৩ লাখ ২৯ হাজার জনের। জুলাইয়ের শেষে এই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ৬ লাখ ৬৫ হাজার। তবে মে মাসের শেষে নাটকীয়ভাবে কমতে পারে করোনার দাপট, গাণিতিক মডেল তৈরি করে এমন তথ্যই দিয়েছেন ওই বিজ্ঞানীরা।