নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্বনেতাদের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থায়নসহ ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী জলবায়ু সম্মেলনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। ৪০ জন বিশ্বনেতা এতে অংশ নিচ্ছেন।
উদ্ভাবন এবং জলবায়ু অর্থায়নে (কনসেশনাল ক্লাইমেট ফিন্যান্সিং) বড় অর্থনীতির দেশ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সেক্টরগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবুজ অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তিতে ট্রান্সফার হওয়া প্রয়োজন।’
জলবায়ু ইস্যুগুলো সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, শুধুমাত্র শক্তিশালী সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।
সম্পদের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও অভিযোজন এবং প্রশমনে বিশ্বে বাংলাদেশের সফলতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। যা আমাদের জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করছে। তিনি বলেন, ‘এ উপলক্ষ্যে আমরা দেশব্যাপী ৩০ মিলিয়ন চারা রোপনের পরিকল্পনা করেছি এবং কম-কার্বনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে অবিলম্বে একটি উচ্চাভিলাষী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আশ্রয় এবং এর ফলে পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রযুক্তির পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।