প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :১৬ এপ্রিল, ২০২১ ৯:০৭ : অপরাহ্ণ
বড় ভাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে এই ঘোষণা দেন।
১৫ মিনিটের ফেসবুক লাইভে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি এখন বসুরহাট পৌরসভায় অবরুদ্ধ। এখানে এমপি একরামের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী, পুলিশ, এএসপি সার্কেল শামীমের নেতৃত্বে আমার পৌরসভা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পৌরসভায় কোনো মানুষকে ঢুকতে দিচ্ছে না। সবাইকে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে আমার বিরুদ্ধে পুলিশ, প্রশাসন লেলিয়ে দিয়েছে, এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? আমি জানতে চাই। আপনি যতই ষড়যন্ত্র করেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। গ্রেপ্তার করে গুলি করে মেরে ফেলবেন? এই চোরা, দুর্নীতিবাজ ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিকে দিয়ে কী করবেন? পিটাইবেন, মেরে ফেলবেন? ফেলেন।’
বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার ছেলেটাকে মারা হলো, আমার পৌরসভায় আক্রমণ হলো, উল্টো আমার ছেলেদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এ ঘটনায় আমার ২৫ জন ছেলে আহত হয়েছেন। আহত হওয়ার ঘটনায় তারা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেননি। অথচ সন্ত্রাসী খুনি বাদল বাহিনীর অভিযোগ গ্রহণ করেছেন এবং আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। ওবায়দুল কাদের সাহেব কোনো খোঁজখবর নেননি, বরং এখানে আমার বিরুদ্ধে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। থানায় এখনো সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। থানা সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। উপজেলা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি।’
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনার অস্তিত্ব এই কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একদিন শেষ করে ফেলবে। আপনাকেও ছেড়ে দেবে না। কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে এটার সমাধান যদি না হয়, আপনি আসতে পারবেন না। প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে। আমার পরিবারের সদস্যদের রক্ত ঝরবে। আপনাকে কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আর আসতে দেব না।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মেয়রপুত্র তাশিক মির্জা এবং অপরপক্ষে মন্ত্রীর ভাগিনা মিরাজসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন:
আবার উত্তপ্ত বসুরহাট : আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, কাদের মির্জার ছেলেসহ আহত ১০